বিকাশ দাস'র একগুচ্ছ কবিতা
(এক)
জাগতে রহো
বিচ্ছেদ মাখা আলোর নিচে কালশিটে অন্ধকার
আতঙ্কের গুমটিতে রক্ত দুধের সম্পর্কের ভার
রং চটা কাঁটাতারের ঘেরায় অজশ্র ফুলের অন্তসার
দুঃখ গিলে গলার ফাঁস ।
রোজ সকাল সন্ধ্যে আকাশ ফোটে বাতাস ছোটে
মুক্তির স্বাদ নিয়ে দু হাতে স্নিগ্ধ স্নাত
রোদের তীরে ছায়ার নীড়ে পূর্বপুরুষের মাটির গন্ধ
সূর্যের আলোয় চাঁদের জোসৎনায় ।
আজ বাসাবদল মুখ থুবড়ে ফোস্কা লাগা সীমান্ত
এ দেশ আমার ও দেশ তোমার পয়মন্ত
মাঝখানে কঠিন বাহুর জমাট সঙ্গিন পাহারা
আর্ত চিৎকার
জাগতে রহো ।
(দুই)
একতার প্রচ্ছদ
একার নয়
দোকার নয়
এ সবার নির্জলা শ্রম;
একার নয়
দোকার নয়
এ সবার অবাধ স্পর্শ;
একার নয়
দোকার নয়
এ সবার নিস্বার্থ অর্ঘ ;
এ সবার
শ্রমের স্পর্শের অর্ঘের একতার খন্ড
রঙ্গ প্রবন অন্তরঙ্গ সংহতির হৃত্পিন্ড।
জলে স্থলে নদী সাগর রোদছায়া বৃষ্টির তোলপাড়
আকাশ মেঘের ছাদে সূর্য চাঁদের দিবারাত নির্বিকার
মাটির ঘাসে ঘাসে ঘন দুর্বার শিশিরে ভুবন একাকার
অনাবিল অনঘ সৃষ্টি
একতার সৃষ্টির দুপার ।
একার নয়
দোকার নয়
এ সবার
.........।
(তিন)
ধর্মের দোহাই
মরতে হলে মরবো কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে নয়।
বাঁচতে হলে বাঁচবো কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে নয়।
সব জীবে প্রেম ভালবাসা রাখবো
কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে নয়।
সব মানুষ আলদা আলদা ছাতার নীচে
এক উতসবে মাতবো কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে নয়।
সততা বাজারে বেচা কেনা করবো
কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে নয় ।
উপনিষদ গীতা কোরান বাইবেল
একদিন পড়বো
কিন্তু ধর্মের দোহাই দিয়ে নয় ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন