পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কল্প আকাশের বুনোহাঁস

ছবি
।। কৌশিক আজাদ প্রনয় ।।  কল্প আকাশের বুনোহাঁস কবেই উড়ে  গেছে শব্দডানায় ভর করে, ছন্দ পেখম খুলে! নি:সার কল্প আকাশ নৈশব্দ নিয়ে অসার থাকে বর্ণহীন বিষাদের অন্ধকার আবরণে। বুনোহাঁস উড়ে গেছে দূরে, সব নিয়ে তার, সময় কোথায় তার কারো দু:খ ভার বইবার! কল্পলোকে আকাশ আছে আজো, নিরুদ্দেশ লীন হওয়া বুনোহাঁসটি নেই। কবিতা তাই কাগজ ফুঁড়ে জন্ম নেয় না অনেকদিন, ছন্দহীন আলাপনে মত্ত ব্যস্ত সময়। কেউ কি খুঁজেছে আর সেই বুনোহাঁসটার? পেখমে পেখমে বিলিয়ে যেত কাব্যদ্যুতি। শব্দহীন কল্পলোকে অনাহুত প্রবেশ করে দরকষাকষি বাক্যবাণ।  তবু নিভু নিভু আলোয় শূন্য আকাশটি আজো একটি প্রেমের কবিতার প্রচ্ছদ হতে চায়।                                                      

কবিতা বন্ধু তুমি নও

ছবি
।। মোরশেদুল আমিন ।।  তোমার সাথে কি দেখা হয়েছিলো বন্ধু ? কবিতার ঘরে , ছন্দ আর অন্তমিলের বন্ধনে একাকী বিকেলের মন খারাপের কথামালায় ! সে হয়তো তুমি নও, সে অন্য কবিতা বন্ধু একদিন জানালায় বৃষ্টিতে হাত বাড়িয়ে নিজেই বিষণ্ণ কান্নায় ভিজে গেলে কখন জ্যোৎস্নায় ভেসে যেতে যেতে ওর নির্জনতায় বেদনা ছুঁয়ে কষ্টে নীল হয়ে যেতে সেই মন খারাপের বন্ধুটি তুমি নও। যে ফুলের সাথে কথা বলতো পাখির সুরে সুর মেলাতো যখন তখন শিমুল ফুলের রঙ পায়ে মেখে অলস দুপুর কাটিয়ে দিত কাঁচ ভাঙার মত নির্জনতা ভেঙ্গে গেয়ে উঠত “যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে”। সেই কবিতা বন্ধুটি তুমি নও যে আমার ধানসিঁড়ির সোঁদা গন্ধ চিনেছিলো গাঙচিল আর হটিটি পাখির সুরে সুর মেলাতো শিশির মাখা পথ মাড়িয়ে চলে যেতো কুসুমবাগে পথের পাশের নাম না জানা ফুলের সাথে মিতালী করতো কলা পাতার বাঁশি বাজিয়ে পৌঁছে যেতো বড় রাস্তায় ?

ভালোবাসার ছায়ায়

ছবি
।। আদিত্য আরেফিন ।। তুমি আমার কে? সে নাইবা তুমি জানলে। প্রাণাধিক ভালোবাসি তোমায়, সে তুমি নাইবা মানলে। চাঁদনিরাতের যৌবনা-শশী দিলাম তোমায়, ঐ চাঁদ কবুও পড়লে চোখে, মনে দিয়ে ঠাঁই একটু ভেবো আমায়। এ অন্তর জুড়ে আছো শুধু তুমি, মিশে রও ক্ষণে-অনুক্ষণে, গভীর ভালবাসার মধুর ভাবনায়। নেই চাওয়ার বেশী কিছু, তুমি আমার হবে, আমার হয়েই রবে, ছায়া হয়ে সারাক্ষণ, ছুটবো তোমার পিছুপিছু। তোমার হয়ে রব কাছাকাছি, তুমি আমি দুজন দুজনাতে খেলব সুখের কানামাছি। তোমায় রাখব বেঁধে কোমল মায়ায়, মোরে দিও আশ্রয় হৃদয় আঙ্গীনায়। তৃষিত দুচোখ কাতর আমার, তোমায় দেখার তৃষায়। বারেবার শুধু তোমায় দেখতে চায়। তোমায় ঘিরে ভাবনা যত, একাগ্রচিত্তে সারাক্ষণ আমায় ভাবায়। অতি যতনে এ বাসনা পুষি মনে, যদি একটু দিতে আশ্রয়, তোমার ভালবাসার ছায়ায়।

অপ্রকাশিত প্রেম

ছবি
।। আদিত্য আরেফিন ।।  আমি জানি, তুমি আমায় বড্ড বেশি ভালবাস। তুমি খুব করে চাও, কিন্তু পারোনা মুখে বলতে। আমি আরও জানি, সদায় চাও তুমি, দুজনে একসাথে পাশাপাশি চলতে। আমি জানি, তোমার অস্তিত্বের শতভাগ জুড়েই আমি, প্রচন্ড ভালবাস আমাকে ভাবতে। আমি বুঝি, তোমার অব্যক্ত অভিপ্রায়। কেবল তুমি চাও সারাক্ষণ নিরবে নিরালায় চোখে চোখ রেখে অপলকে দেখতে আমায়। আমি বুঝি, তোমার কাজল কালো নয়নের ভাষা। আমি এইও বুঝি, আমায় কাছে না পেলেই হারাও দিশা। আমি জানি তুমি খুব করে চাও, চোখে চোখে নিরবতায় হোক দুটি মনের ভাব বিনিময় কিছুক্ষণ। আমি জানি, আমাতে তুমি নিজেকে করেছ বিসর্জন। আমি জানি গো,আমি বুঝি তোমার চোখের আড়াল হলেই বড্ড বেশি ব্যাকুল তুমি। মনাকাশে শূণ্যতার রবিকর হয় উদয়, আমার তরে তোমার শত খোঁজাখোঁজি। আমি বুঝি, আমায় কাছে পেলে তুমি, খোঁজে পাও অনাবিল সুখ। আমার শূন্যতায় আঁকড়ে ধরে তোমায়, বিরহের শতশত অসুখ। আমি বুঝি, আমাকে পাওয়ার তরে তোমার ব্যাকুলতা। বিচলিত করে তোমায় সদাশয়, আমার ক্ষাণিক নিরবতা। তুমি কি বুঝ,তুমিও কি জান? আমিও তোমার প্রেমে পড়ি বারেবার। অপলকে আমায় দেখে, হাসির বানে নিজেকে ভাসাও যতবার। আমি জানি, তুমিও বুঝতে পার...

সীমান্ত কাঁটাতার

ছবি
।। সৈয়দ সাইকোপ্যাথ তাহসিন ।। আপাতত দু'দন্ড অবসর কবিতা আমি ফিরবোই অপেক্ষায় থেকো, সেদিন সন্ধ্যা-মালতি হয়ে কিছু জোঁনাক পোকা জ্বলবে আমি ফিরবোই এক চিলতে মনে রেখো । অমাবস্যার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি নির্লিপ্ত ভাবে দু'হাত বাড়িয়ে, কত প্রতীক্ষা রোজ বেনাপুলের সীমান্তে নিস্তব্ধ উচ্ছ্বাসে দাঁড়িয়ে । কাঁটাতারের বেড়ায় আঁটকে থাকে হৃদয় সীমান্তে দাঁড়িয়ে অতন্দ্র প্রহরী, হাতে রাইফেল, বুলেট, বেয়োনেট আমার থমকে থাকে মনের ছোট্ট নগরী । সীমান্তরেখায় রক্ত লেগে অশুদ্ধ কাঁটাতার অশুদ্ধ হই আমি, নিষিদ্ধ পারাপার । হল্ট, দাঁড়াও! দু'হাত বাড়াও । কিছুক্ষণ সময় চেয়ে আশ্রয় নেব তাই, ঘন কালো চুল বাতাসে উড়ুক কিছু ছাইপাঁশ দূরত্ব'রা সরুক আমি যত দূর যাব, যত দূর যেতে চাই ।

সে খুন হয়ে গেছে

ছবি
।। জাবেদ এ ইমন ।।  তাকে খুন করার আগে, কেবল একবার-ই সে উড়ে যেতে চেয়েছিল। তারপর জোছনা ঢেলে দিয়ে বলল ডুবিয়ে দাও সমুদ্র ফেনায়। সে খুন হয়ে গেছে একটা ঝলমলে রোদ কিনতে গিয়ে বিষোদ সাগরের তলায়। সে খুন হয়ে গিয়েছে সেই অপ্রত্যাশিত জোছনার আগমনে। সে খুন হয়ে গেছে যে জোছনা রোদ কামনা করে গভীর রজনীতে। সে খুন হয়ে গেছে রোদ নিজ উঠানের ওলানে জোছনা চায় নি বলে। খুন হওয়ার আগে সে একবার-ই উড়ে যেতে চেয়েছিল। তারপর খুন হয়ে গেছে জোছনায় মাখামাখি হয়ে বিষোদ সাগরের তলায়। সে খুন হয়ে গেছে.......... 

কবিতা হও একবার

ছবি
।। আদিত্য আরেফিন ।।  কবিতা আমার কথা বলা কবিতা আমার ভাষা। কবিতা আমার পথচলা কবিতা আমার দিশা। কবিতা আমার চাওয়া-পাওয়া কবিতায় বসবাস আমার। কবিতা আমার দক্ষিণা হাওয়া কোমল স্পর্শে প্রেমে পড়ি বারেবার। অস্তিত্বের শতভাগে মিশে আছে কবিতা আমি কেবল কবিতার। কবিতা আমার,আমি কবিতার। কেউ কি আমায় পেতে চাও? তবে কবিতা হও কবিতা হও একবার।

ভালো আছি

ছবি
।। তানজিলা ইয়াসমিন ।। ভালো আছি, খুব ভালো আছি- এখন আর রোদের ছায়া আসে না আমার উঠোনের ব্যস্ত স্মৃতিতে; ভালো আছি, খুব ভালো আছি হয় না নতুন কোনো গল্পের মিষ্টি কথার পরিসমাপ্তির নিত্য লিখন; ভালো আছি, খুব ভালো আছি আলো আঁধারির মাঝে কোনো অদেখা ছায়ার অতলে ডুবে যাই পাই না ফেরার পথ শুধুই পরাজিত; ভালো আছি, খুব ভালো আছি সময়ের পাল তোলা নৌকায় ভেসে তীরের আশায় ঢেউয়ের বুকে; ভালো আছি, খুব ভালো আছি দীর্ঘশ্বাসের শব্দ মিশে কবিতায় যেন অনেক অপেক্ষায় নতুনের; ভালো আছি, খুব ভালো আছি খুঁজো না কোথাও রেখে দাও সব কথা গুলো কবিতার বুকে মিলিয়ে নেবো সূর্যোদয়ের ছোঁয়ায়; ভালো আছি, খুব ভালো আছি রাতের আকাশে তাকিয়ে ভবিষৎ চোখের তারায় লুকিয়ে যন্ত্রণা দেখোনা রাত যে এখানেই লুকানো!!!