পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বাধীনতা

ছবি
।। তানজিলা ইয়াসমিন ।। স্বাধীনতা এ যেন সকাল বেলার মিষ্টি সোনা রোদের ছোঁয়া, স্বাধীনতা এ যেন দুপুর বেলার অলস সময় মাখা সুখের মায়া। স্বাধীনতা এ যেন সদ্য ফোঁটা কোনও লাল গোলাপের ঘ্রাণ, স্বাধীনতা এ যেন লক্ষ ভাইয়ের অকাতরে বিলিয়ে দেয়া তাজা প্রাণ। স্বাধীনতা এ যেন প্রেয়সির মিষ্টি ঠোঁটের পরম সুখের এক চিলতে হাসি, স্বাধীনতা এ যেন গগণ বিদারী চিৎকারে বলা সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। স্বাধীনতা এ যেন লাখো মায়ের নিত্য কান্নার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া নীরব যন্ত্রণা, স্বাধীনতা এ যেন মুক্ত ভোরের অপেক্ষায় নব প্রজন্মের নতুন করে বাঁচার বাহানা।

একটি মাস, দুটি জন্ম

ছবি
।। হাফিজ রহমান ।। চৈত্রের পোড়ামাটি ছড়ায় উত্তপ্ত নিঃশ্বাস, সবুজে জড়ানো মাঠ নিশ্চিহ্ন প্রায়, মাঝেমাঝে বয়ে যায় প্রবল বাতাস, উত্তরে মধুমতির জলভরা বায়ু নিয়ে আসে স্নিগ্ধ পরশ! দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ, স্বজনের মুখে নাই হাসি, তবুও সোনার দেশ, তবুও তোমায় ভালবাসি। তোমার আর্তনাদ ধ্বনি মর্মে বিঁধেছিল যার, চৈত্রের প্রখর দিনে জন্ম তাঁর, সন্তান সে এই প্রকৃতির,  সোনার বাংলার। বাংলার নদীনালা ডেকেছিল তাঁরে, বাংলার ঘাসফুল ডেকেছিল তাঁরে, বস্ত্রহীন নিরন্ন মানুষ ডেকেছিল তাঁরে, সমগ্র দুঃখিনী বাংলা ডেকেছিল তাঁরে, অনেক আদর করে বঙ্গবন্ধু নাম ধরে। চৈত্রের দাবদাহে পুড়ে যায় ফসলের সুখ, জেগে ওঠে নিরন্ন মানুষের মুখ, তদুপরি শোষকের লোলুপ চাহনি, তাই দেখে জেগে ওঠে মনে তাঁর দ্রোহ ; দেশমাতাকে ভালবেসে তাই - তিনিও দিলেন ডাক মুক্তি চেয়ে স্বাধীনতার, এই আগুনের মাসে, দুটি জনম তাই সমার্থক হয়ে আছে।

নিষ্ঠুর বর্বরতা

ছবি
।। তাহমিনা ছাত্তার ।। তোরা নিষ্ঠুর! তোরা বর্বর! তাইতো ঘুমন্ত বাঙালির উপর হানলি আঘাত নিরন্তর। পৃথিবীর ইতিহাসে নেইকো এমন স্বাধীনতাকামী জাতিরে দাবাতে হায়েনার মত করে আক্রমন। নাম দিলি তোরা অপারেশন সার্চলাইট তোদের নীল নক্সায় বাদ পড়লোনা অদ্ভুত ছিল ঢাকার সে নাইট। একযোগে তোরা হানলি আঘাত পিলখানা -রাজারবাগ-ই পি আর চুরমার, বইছে গুলির প্রপাত। চালালি গণহত্যা, মরলো দেদার আমার মেধাবীদের রক্তে ভাসে জগন্নাথ আর ইকবাল হলের করিডোর। ওরে হায়েনা, ওরে পিশাচের দল! প্রচন্ড আক্রমণে কাঁপিয়ে তুললি শাঁখারীবাজার-নওয়াবপুরের আকাশ-মাটি-জল। ইতিহাসে অসভ্য তোরা, পুড়ালি পত্রিকা অফিস,গুঁড়ালি শহীদমিনার ছি! ছি! থুথু, ইতিহাসের ক্ষমা পাবিনা তোরা। গণহত্যার এই শোকের বসন নয় শুধু বাঙালির, নয়রে একার বিশ্ব মানবতা জাগুক ক্ষোভে,করুক রোদন। আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসে চিহ্নিত হোক সকল নিষ্ঠুরতার অবসান হোক পৃথিবী জুড়ে স্বাধীনতাকামী মানুষের জয় হোক।

বিষণ্ন ঠোঁট

ছবি
।। দ্বীপ সরকার ।। তুমি যতোটা ক্ষত দেখ পিচ সাঁটা সড়কে তৃষ্ণার্ত বুক পোড়ে কাঠ খড়ি নরকে নিস্তবদ্ধ সুনসান হৃদয় , বিষণ্ন ঠোঁট ও ঠোঁটে উষ্ণতা ভরা নক্ষত্রের নোট ; পিদিমহীন আঁধার , চিলেকোঠার রাত বিরক্তিকর প্রশ্নে থেমে যায় করাত । খরচহীন ধ্যান নিয়ে ভ্যালেন্টাইন খুঁজি ছকে বাঁধা প্রেম ! সহজেই যেনো বুঝি । মিমাংসিত তীরচোখে ভুল তুমি দাগটানা খাতার ভেতর শুণ্য ভূমি ঠোঁটের দাগ ; চুম্বন বলে খ্যাত যা নিঃসৃত চাহনীর ফাঁকে ঝুলে থাকা ।

বিকাশ দাস'র একগুচ্ছ কবিতা

ছবি
( এক ) জাগতে রহো বিচ্ছেদ মাখা আলোর নিচে কালশিটে অন্ধকার আতঙ্কের গুমটিতে   রক্ত দুধের সম্পর্কের   ভার রং চটা কাঁটাতারের ঘেরায় অজশ্র ফুলের অন্তসার দুঃখ গিলে গলার ফাঁস । রোজ সকাল সন্ধ্যে আকাশ ফোটে বাতাস ছোটে   মুক্তির স্বাদ নিয়ে দু হাতে স্নিগ্ধ স্নাত রোদের তীরে ছায়ার নীড়ে পূর্বপুরুষের মাটির গন্ধ সূর্যের আলোয়   চাঁদের জোসৎনায় ।   আজ বাসাবদল মুখ থুবড়ে ফোস্কা লাগা সীমান্ত এ দেশ আমার ও দেশ তোমার পয়মন্ত মাঝখানে কঠিন বাহুর জমাট সঙ্গিন পাহারা   আর্ত চিৎকার জাগতে রহো । ( দুই ) একতার প্রচ্ছদ একার   নয় দোকার নয় এ সবার নির্জলা শ্রম ; একার   নয় দোকার নয় এ সবার অবাধ স্পর্শ ; একার   নয় দোকার নয় এ সবার নিস্বার্থ অর্ঘ ; এ সবার শ্রমের স্পর্শের অর্ঘের একতার খন্ড রঙ্গ প্রবন অন্তরঙ্গ সংহতির হৃত্পিন্ড । জলে স্থলে নদী সাগর রোদছায়া বৃষ্টির     তোলপাড় আকাশ ...

বাপ্পি সাহা'র একগুচ্ছ কবিতা

ছবি
e½eÜz gv‡b BwZnvm hy‡× hy‡× bq gvm gyw³hy‡× ev½vjx weRqx jÿ jÿ gyw³ †mbv G‡b w`j weRq wbkvb|                                                 Rq evsjv nj Rq Avgv‡`i ¯^vaxb cZvKv weRq fv¯‹h© nj meyR Rwg‡b i³ jvj| nvRv‡iv gv‡qi Kvbœv gyw³Kvgx gvby‡li gv‡S ¯^vaxbZv RvMi‡Y nvbv`vi nvi gv‡b nvi| weR‡qi cZvKvq e½eÜz gv‡b BwZnvm BwZnvm K_v Kq wPiÄxe mvnmx ev½vjx| †PZbvi †mB gwb hy‡× hy‡× bq gvm AvR ev½vjxi Rq i‡³ i‡³ Rq evsjv‡Z †bB civRq ÿq| Avwg Zzwg GK GB evsjv †bB evsjv‡Z fq me wKQz AvR GK e„‡I gyw³‡Z R¦jgq| g„wIKv AvR †i‡L hvq NªvY Rywo‡q Avgvi cÖvY Pviw`‡K AvR ïay ZvB bq wKQz w¤ªqgvY| BwZnv‡m ïay †`wL Avwg AvR gywR‡ei Kvj aŸwb Avm‡e wK wd‡i Avi KL‡bv †PZbvi †mB gwb| ¯^vaxb evsjvi †`k...

আমি নারী

ছবি
।। অমর বিশ্বাস ।। আমি সেই মৃত্যুপুকুরের ঘোমটা পড়া, বাসন মাজা নারী! আমি সেই তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালানো নারী! আমি সেই পতি সেবা, মাতৃত্বে ভরা ঝরা পাতার নারী! আমি সেই নৈরাশ্যের উজানে বাতি জ্বালানো নারী! আমি মাতঙ্গিনী, আমি রানী ঝাঁসি আমি যোদ্ধা, আমি সমাজ গঠনকারী, আমি মহাকাশে পাড়ি দেওয়া কল্পনা চাওলা! নই অবলা আমি, আমি দূর্বার ঝঞ্ঝা আমি ভালবাসা, আমি মহীয়সী আমি পাহাড়কে শীতল করা ঝরো ঝরো ঝরনা! দু'চোখে স্বপ্ন আমার,----- নয় পুরুষ, নয় রে নারী নয় বিক্রম,দূর্বলতা,--নয় অবহেলা শুধুই প্রেম আর মানবতা! তুমি সূর্য, আমি চাঁদ আমি মীরাবাঈ, কুসুমের কোমলতা! আমি বীরঙ্গনা, আমার দু'চোখ প্লাবনে ভাসে পূর্ন মানবতা, সাম্য,----স্বাধীনতা! আমি সেই নারী!!

অতিরিক্ত ভালোবাসা

ছবি
।। তাজিরুন ফেরদৌস ।।  তুর্য শেষ বর্ষের ছাত্র।আজ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন বরণ।সকাল থেকেই তুর্য ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির জন্য।তুর্যদের ব্যাচ সিনিয়র হওয়ায় সব দায়িত্ব তাদের।সবকিছু ওরা সুন্দর ভাবে গোছালো।অনুষ্ঠান শুরু হলো।তনুজা আজ নীল শাড়ি পরে এসেছে।আজ তার নবীন বরণ তাই আজ সে হালকা সেজে এসেছে।এতেই তাকে দারুণ লাগছে।সাংস্কৃতিক আয়োজন শুরু হলো।এবার তুর্য গান গাবে।সবাই হাত তালি দিয়ে উঠলো।তুর্য তার গানের গলার জন্য সবার খুব পছন্দের।তুর্য স্টেজে উঠে গান শুরু করলো।তুর্য "আমার হিয়ার মাঝে" গাইলো।তুর্যর গান শুনে তনুজার তুর্যকে ভালো লেগে গেলো।এতদিন সে শুধু তুর্যর কথা সবার কাছে শুনেই এসেছে কিন্তু আজ প্রথম তুর্যর গান নিজ কানে শুনে সে বুঝতে পারলো।এখন নতুন শিক্ষার্থীদের ফুল দেয়ার পালা।তুর্য সকলকে ফুল দিবে।একজন একজন করে নতুন শিক্ষার্থীরা স্টেজে উঠে তুর্যর হাত থেকে ফুল নিচ্ছে এবং তার গানের প্রশংসা করছে।এবার তনুজা স্টেজে উঠলো ফুল নেয়ার জন্য।তুর্য প্রথমবার তনুজাকে দেখলো।তনুজাকে দেখে সে একদম বিস্মিত হয়ে যায়।প্রথম দেখাতেই তনুজার প্রেমে পড়ে যায়।লাভ এট ফার্স্ট সাইট।সে তনুজার দি...