পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফসলি শিশু

ছবি
।। জাবেদ এ ইমন ।। এই যে পৃথিবীর বুকে বেড়ে উঠে চারা ফসলের ফুল, আমি আজন্ম এদের সাথে শিশু হয়ে যাই। আমার দেয়াল যখন রাঙে নীল ভ্রমরের রঙে, একটু সাদা মেঘ জমা করে রাখি বাম পাজরের শীরায়। আপেক্ষিক তত্ত্বের হ্যা, না এর মাঝে যখন দ্বান্দ্বিক পরিভ্রমণ প্রজাপতি তখনো ঘটে মিলন-বিচ্ছেদে বাহন বাশিঁর সুরের সামুদ্রিক ফেনায়িত খেলা। ধরাধাম নিয়মের বাহিরে হাটে না বলেই, জমা করে রাখা সাদা মেঘ অপরূপ বৃষ্টি বিলাস উপাধি পায়। সময়ের চক্রযানে ভর করে মৃত্তিকা চুষে আকাঙ্ক্ষিত বুনো বীজ মহাকালের পৃথিবী প্রতীক্ষায় থাকে ভবিষ্যতের উদ্দাম ফসলের আশায়। আমি বারবার এই ফসলি শিশু, আমিই আবার এই ফসলের পিতা।

তরুণের শপথ

ছবি
।। আদিত্য আরেফিন ।। শোন হে তরুণ, পেয়োনা কভু ভয়। করোনা নত শির আসন্ন বিপদে, আনবে ছিনিয়ে মুক্তি, মনে সাহস কর সঞ্চয়। প্রাণের মায়া করোনা তরুণ, দেহে তোমার বহমান টগবগে তাজা রক্ত। অন্যায়,অনাচার, মিথ্যা পাপাচার, ধ্বংস করবে সকল অশুভ শক্তি, তুমি হবে সত্য-গুরুর ভক্ত। সাজাবে এই বিধ্বস্ত পৃথিবী, সমৃদ্ধ- শৃংঙ্খলায় নিজের মত করে। তুমি হবে উন্নয়নের পথ প্রদর্শক, এই স্বপ্ন-জালে রেখো বন্দী আপনারে। সৈনিক হয়ে লড়বো কল্যাণের তরে, ত্যাগী হয়ে সদাশয় দেখাবো শান্তির পথ। দেশের তরে করবো আত্ন-বিষর্জন, এই হোক তরুণের শপথ।

এপিটাফের কথন

ছবি
।। মোরশেদুল আমিন শাহিন ।। আমার মৃত্যুর পর কবরের উপরে কোন এপিটাফের প্রয়োজন নেই- কষ্টের খরতাপে শুষ্ক লতা গুল্ম দেখে তোমরা বলতে পারবে বেদনায় নীল হতে হতে কষ্ট বন্ধুর অতৃপ্ত হৃদয়; চৌচির মাটির ফাটল দেখে বুঝেনিও আদরহীন একটা জীবন যার অবহেলায় অযত্নে কেটে গেছে জীবনের পুরোটাই , কোন নিশুতি রাতে জ্যোৎস্নার পরিবর্তে ঘুট ঘুটে অন্ধকার দেখলে বুঝবে এ হৃদয় ছিল রমণীর ভালবাসাহীন অথবা যাতনাহীন ভালবাসা । খর চৈত্রের এ মৃত্যুতে শিমুলের তুলো ঝরা দিক থেকে দিগন্তে বিস্তৃত হয়েছে ধূসর আরও। তোমাদের বিরক্তির শেষ লালিমা মুছে সস্থির ঢেঁকুর হবে অত:পর! 

কেউ নেই আজ তাদের পাশে

ছবি
।। ফয়জুস সালেহীন ।। অশান্তির আগুন দাউদাউ করে জ্বলে,শান্তিতে নোবেলধারীর মুল্লুকে। " অহিংসাই ধর্ম" আজ কেবলি মুখের বুলি। হিংসার বিষবাষ্পে ছেয়ে গেছে রাখাইনের উপত্যকা,অলিগলি। জীবহত্যাকে ওরা মহাপাপ বলেই জানে। কিন্তু রোহিঙ্গারা যেন জীব নয়, প্রাণহীন জঞ্জাল! তাইতো নির্দ্ধিধায় নির্বিচারে তাদের নিধনের উৎসবে মেতে উঠে। অধিকারগুলো তাদের, কবেই হয়েছে বুটের তলায় পিষ্ট। শুধুমাত্র বেঁচে থাকার অধিকারটাই ছিলো অবশিষ্ট। কিন্তু তাতেও হানা দেয় জগৎ এর সকল প্রাণীর সুখ কামনাকারীরা। বেঘোর ঘুমে আচ্ছন্ন আজ বিশ্ব বিবেক। তাইতো তাদের কর্ণকুহরে প্রবেশ করেনা রোহিঙ্গাদের আর্ত চিৎকার। রোহিঙ্গাদের রক্তাক্ত দেহগুলো তাদের সহানুভূতিতেও সুড়সুড়ি দিতে ব্যর্থ। মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে খড়কুটো হিসাবে ওরা খোঁজে সাহায্যের প্রসারিত হাত। কিন্তু জঞ্জালের পাশে কে দাঁড়াবে? কেউ নেই আজ তাদের পাশে। রোহিঙ্গারা অকাতরে তাই প্রাণ বায়ুটা বিলিয়ে দিয়ে- জঞ্জালমুক্ত করবে মায়ানমারকে। জঞ্জালমুক্ত করবে পৃথিবীকে।।

সংক্ষিপ্ত_বাঁচা

ছবি
।। অমর বিশ্বাস ।।  তোমার দুশো ছ'টা হাড়ের মধ্যে যদি প্রতিদিন--- একটা একটা হাড়কে খুলে নেওয়া হয় তুমি বাঁচবে কি করে! যদি তোমার জীবনে বেঁচে থাকার প্রতিটি উপাদানকে--- একটা একটা করে বেচে দিতে হয় ব'লো তুমি বাঁচবে কি করে! সবকিছুকেই সংক্ষিপ্ত করে বেঁচে আছো জানি, কিন্তু কেমন ক'রে? শ্বাস আছে যদিও দূষিত বাতাসে প্রতিদিন বাঁচার অভ্যাসে-- বেঁচে আছো জানি সংক্ষিপ্ত বাঁচাতে!

আমার মনপোকারা

ছবি
।। মোরশেদুল আমিন শাহিন ।। স্মৃতি গুলো ঘূণেপোকা হয়ে ভিতরটা কি যতনে খেয়ে যায়! ক্ষয়ে যায় আমার জমানো সব সম্বল - ভোরের আলো, ফিঙের ডাক সময়েরা আঁধারে ডুবে যাচ্ছে একটুও টের পাচ্ছে না কেউ এতো যে ভিড় কোলাহল মুখর যাপিত জীবন যতিচিহ্ন নেই কোথাও শুধু ঘূণপোকা বিরামহীন বিনাশ করে যাচ্ছে ইচ্ছে গুলো। ঘূণপোকার ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়েছিলো আদিপাপ থেকে তারপর স্বর্গ থেকে আদম চূড়া, ট্রয়, ফারাও, ব্যবিলন ,বাইজেন্টাইন ঘূণপোকার এক দণ্ড বিশ্রাম নেই। নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে জীবনের পর জীবন সভ্যতার পর সভ্যতা ঘূণপোকারা সীমানা চেনেনা, সভ্যতা জানেনা, মায়াহীন এক বিনাশী মনপোকা।

কষ্টের কতটা বুঝিস

ছবি
।। শামীমা সুমি ।।   কষ্টের কতটা বুঝিস তুই? যতটা দেখিস ততোটুক শুধু কষ্ট! বিভ্রমে আছিস তবে..ওটা ছায়ামাত্র প্রতিবিম্বিত কষ্টের ধোঁয়াটে আলোড়ন।। কতটা পান করেছিস বেদনার জল! এনেছিস কী আঁজলা ভরে পরে চাখবি বলে? নাকি রেখে দিয়েছিস যত্ন করে মৎস্যধানীতে হয়তোবা ছেড়ে দিবি তাতে এক দুটো সুখের মথ।। চিরেচিরে যখন রক্তক্ষরণ হয়! শোণিতধারাটা দেখা যায় না কোনভাবে ই, অনুভব হয় কিছু একটা গলে যাচ্ছে যেন আগ্নেয়লাভার মতো বয়ে যায় চক্ষু বেয়ে।। ইতিহাস হয় আহত হৃদয়ের বোবা কান্না চিতার দহন ভেতরে বাইরে চলে মেকি হাস্য, কষ্টের কান্নাটা কভু বুকে চেপে রাখা যায় শুধু আঁখিদুটি করে যায় বেপরোয়া বিদ্রোহ।। আকস্মাৎ বজ্রপাতে ঝলসেছিস কখনো? প্রিয়জনের আঘাতগুলো বজ্রশলাকা, মথিত হয়েছিস বিরহের চোরাবালিতে? কেবল নিচেই টানে উর্ধ্বপথ স্বপ্নময় লাগে।। কষ্টের আরকে ক্ষীণতম হয় কায়া অস্থি কৃতকাম হয়ে যায় দুঃস্বপ্নের বহতানদী, জীবাত্মা বেরোতে চায় দেহেত খাঁচা ছেড়ে ছিঁড়তে চায় জাগতিক সব মায়াজাল।।

তোমারি জন্য

ছবি
।। ফুয়াদ চৌধুরী ।। আবারো এলাম তোমার পথের সঙ্গী হতে- একবার স্পর্শ করে দেখো এই হাত, দেখবে নিষ্প্রাণ এ পথ সজীবতায় ভরে উঠেছে। তোমার ঐ কোমলময়ী কালো চুল- মনে হয় মেঘের রুপে সেজেছে, এই বুঝি অঝরধারা সৃষ্টি হলো।। জ্যোৎস্না রাতে তোমার ঐ হাসি আকাশের তারা হয়ে জ্বলে উঠে- হাতে হাত রেখে সেই পূর্নিমা কাটিয়ে দেখো, নিষ্প্রাণ রাত সাজবে আলোর প্রদ্বীপ হয়ে। তুমি জানো-এই প্রাণ তোমারি অপেক্ষায়, বহুদূর পাড়ি দিয়ে আবারো এলো তোমার ভালোবাসার সঙ্গী হতে!

ফেরারী স্বাধীনতা

ছবি
।। আব্দুল্লাহ আল মোজাহিদ ।। স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কি--- আজও জানা হলো না তবু আজও হন্যে হয়ে ছুটি স্বাধীনতার পিছু-পিছু কিন্তু, বড়ই দুর্ভাগ্য আমার : স্বাধীনতা আমায় ধরাই দিলো না ! আজও উদয়াস্ত স্বাধীনতার পিছু-পিছু ছুটি কখনো বা স্বাধীনতাই আমায় তাড়া করে ; স্বাধীনতার এক সুন্দর নাম দিয়েছি আমি--- আমার কাছে স্বাধীনতা মানে কিছু রক্ত, আর ক'টা তাজা-তাজা মৃতদেহ ; বাঁচার জন্য আর্তনাদ নিষ্পাপ প্রাণের ! স্বাধীনতাকে বহুজায়গায় খুঁজেছি আমি--- খুঁজেছি ইরাক সিরিয়া লেবাননে, রক্তিম আর্দ্রমাটিতে, পোড়াবস্তিতে, আফগানের রণক্ষেত্রে, আরাকানের পাহাড়ে, আয়লানের নিথরদেহে ! ভূমধ্যসাগর গ্রাস করে আমার অভিবাসীপূর্ণ তরী ! তবুও নির্বাক মানবতা : ওরা সীমান্ত খুলে দেয়নি ! রক্ত যেখানে শীতল, সেথায় ধর্মের জোর কিসে ? গহীন অরণ্যে ভাগাড়ে আবিষ্কৃত হয় আমার মৃতদেহ ! আজও আমার পাঁজরে অক্ষত গোলার আঘাত, আমার বুকের রক্ত দিয়ে তোমরা খেলেছ হোলিখেলা, জান বাঁচাবার তাগিদে, শুধু জান বাঁচাবার তাগিদে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছি বারংবার ! স্বদেশের মাটিতে আমার আশ্রয় হয়নি কোথাও, শুধু রোহিঙ্গা বলে, সাঁওতাল বলে, ত...

আমাকে ঘুম দাও

ছবি
।। হাফিজ রহমান ।। পৃথিবীর মানব বাগানে সৃষ্টি করে অগণিত বিশুদ্ধ মানব, তাদের করেছ সকল সৃষ্টির সেরা, তবুও তো কিছু অমানুষ হয়ে যায়, মানবের মাঝে যেন দানব কিছু! সারাটা জগত্জুড়ে তাদেরই সে পাপের রাজত্ব, সৃষ্টির শুরু থেকে এভাবেই চলছে, আর কি নির্বিকার তুমি, মনে হয় ঘুমিয়েই আছো কতকাল, মানবতার হৃৎপিন্ড ভেদ করে বইছে যে রক্তনদী, তোমার ঘুমন্ত চোখে পড়ে না কি তা? আর তার আর্তনাদ পৌঁছে কি তোমার কানে? অবুঝ শিশু, যাকে দানবে করেছে ক্ষতবিক্ষত, তার সে গগনবিদারী চিৎকার ; আমার ঘুম কেড়ে নেয়, তুমি কি তাও শোননি? অবুঝ এই শিশুটির আর্তচিৎকার, পারেনা কি ভাঙাতে ঘুম তোমার? যুগে যুগে দানবেরা জিতে যাবে শুধু? হবে না কি প্রতিকার তার? বিপন্ন এই মানবতার দেশে, সব হারানো মানুষের কথা শুনেছি,  একাত্তরের বাংলাদেশ, বিপর্যস্ত ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, তুরস্ক কিম্বা আফ্রিকার বিপন্ন মানুষ, তারা বলছিল, অনেক আক্ষেপ করে, বিধাতা ঘুমিয়ে থাকে, মানবতা যখন হয় ধর্ষিত, আমাদের ঘুম কেড়ে তুমি কি সত্যি ঘুমাও বিধাতা? রক্তের হোলি খেলা বন্ধ করে আমাদের শান্তির ঘুম দাও, অবুঝ বালিকা যেন অস্ফুট গোলাপ, তাকে সুশোভিত করো, বিকশিত করো, করো ত...

নিহন্তা

ছবি
।। শুভ্র ।। ঘড়িতে তখন ২ টো বেজে ৪০ মিনিট। অঙ্কন বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। ঝুপ করে একদল অন্ধকার গিলে নেয় ওকে। মেঝেতেই বসে পরে। শীতের রাত। তবু কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে। টেনে টেনে শ্বাস নেয়। ভয় করছে অঙ্কনের। উঠে দাঁড়ায়। কোন মতে ঘরে ঢুকে দরজাটা আটকে দেয়। পাথরের মতো জমে যায়। শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত নেমে আসে। প্রচণ্ড পিপাসা পায় । একটা ঘোরের মধ্যেই সামনে এগিয়ে যায়। বিছানার কাছটায় পৌঁছে, দাঁড়িয়ে পড়ে। নিকিতা ঘুমিয়ে আছে। ওর স্ত্রী। ৬ বছরের সংসার। ভালোবেসেই নিকিতাকে বিয়ে করে। বিয়ের প্রথম কয়টা বছর ভালোবাসাটা ওদের মধ্যে ছিল। আর দ্বিতীয় বছরেই স্নিগ্ধা আসে ওদের মাঝে। বেশ সুখের মধ্যেই ছিল ওরা। সাজানো গোছানো সংসার। সমস্যাটা বাঁধে গত বছর জুলাইয়ের দিকে। অঙ্কনের চাকরিটা হঠাৎ করে চলে যায়। বাড়িতে কিছু বলতে পারে না। মা মেয়ের মুখের দিকে তাকালে এই কঠিন সত্যটা আর বলা হয়ে ওঠে না। নিজের মধ্যেই ঘুরতে থাকে। গুটিয়ে যায়। পালটে যায়। অল্পেতে বিরক্তি এসে যেত। স্নিগ্ধাকে মারধোর করতো। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। শেষের দিকে রাতগুলো জেগেই কাটাতো। একরাত্রে বারান্দায় দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরায়। টানততে থাকে।...

কবি ও ন্যুড চিত্রকর

ছবি
।। জাবেদ এ ইমন ।। জোতিষ হলাম তোমার জন্য হাত ধরে হৃদয় ছুঁইব বলে। কবি হয়েছি ক্ষণ গুলো শব্দের মহিমায় পাতায় পাতায় গেঁথে রাখব বলে। কে জানিত প্রতিপক্ষ হয়ে আছে, ন্যুড চিত্রকর। কে জানিত রমণীর মন, স্রোতের বিপরীতে চলার মতই বিস্ময়কর। আমায় বললে সেকেলে, তাকে বললে আধুনিক জানলে না তুমি, আসলে ন্যুডটাই পৌরানিক। যেদিন ইভ আর এ্যাডাম এসেছিলো ধরায়, সেই থেকেই তো উলঙ্গ হয়ে আছে পৃথিবী। বুঝলে না কবিরাই সর্বকালের সবচেয়ে আধুনিক। বুঝলে না, বুঝলে না, না বুঝে ন্যুডটাকেই ভালোবাসলে।

মানবের এই নাট্যশালায়

ছবি
।। তানজিলা ইয়াসমিন ।। কোন বাঁধন আজ আর টানে না মানব মন; পথের সাথে করেছি আজীবনের সখ্যতা যখন। ভবঘুরে জীবন আমার ধুলোপড়া জমিন; – কিসের লাগি ছুটছি আজো করি তারই সন্ধান; মানবের এই নাট্যশালায় আমি যে আর পারছিনা সত্ত্বাকে বিলিয়ে শুধু খোলসে ডুবে যেতে। সৃষ্টি আমায় রোজই টানে, বাউল হল মন; – ভবের মায়ায় আর কতকাল? এবার সাধন করি চল! মন মাঝারে কিসের লড়াই তুই আমি রোজ করি; ওরে! ডাক দিলে সাঁই যাবি যে সব ফেলি। কে বলেরে বাউল মন আজ পাগলা কথাই ভাবে হৃদয় শোধন না হলে তোর কেমনে মরণ হবে!