পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রক্তে ভেজা একুশ আমার

ছবি
।। কৌশিক আজাদ প্রনয় ।। অন্ধকারের অন্তরালে কৃষ্ণচূড়ার রক্তলালে- ফুটছে দেখো অরুণ আলো মুক্তি মিছিল -আগুন জ্বালো। মায়ের ভাষার অহংকারে দীপ্ত হবো বিশ্বদ্বারে ভাষার একুশ, একুশ প্রাণের আজকে সে ভোর ভাষার গানের। রক্ত আগুন একুশ ডাকে স্বাধীনতা স্বপ্ন আঁকে হানলো আঘাত বুলেট গুলি মুক্ত হল মায়ের বুলি। রক্তে ভেজা একুশ আমার তোমার আমার সব জনতার নতুন ভোরে প্রভাত ফেরী বাংলা ভাষার জয়ভেরি। শুনতে কি পাও অস্ফুট স্বর দূর হতে ভাসে সুরের লহর বিসর্জনের ত্রিপ্ত দম্ভ স্বাক্ষ্য দেয় সে স্মৃতির স্তম্ভ। এই ফাগুনে ঝলসানো রোদ জাগিয়ে তুলুক দেশত্ববোধ ভাষার গান আর ভাষার আগুন আসছে ক্ষণে বাড়ুক দ্বিগুণ।

অরক্ষিত জনপদ

ছবি
।।হাফিজ রহমান ।।  বাগানের সতেজ ফুলগুলো জড়ো করে একটা প্রিয় মালা গাঁথি। তারপর দিবসের প্রথম প্রহরে, অতি বিনয়ের সাথে নগ্ন পায়ে শহিদ মিনারের বেদীমূলে রেখে শ্রদ্ধায় স্মরণ করি! শহিদের দেহগুলো পড়েছিল এখানে ওখানে, প্রাণগুলো আজ এই মিনারের গায়ে বসে থাকে। আমরা অতি শ্রদ্ধায় ফুল দেই, শহিদেরা হাসে, শহিদেরা ফুল ভালবাসে! ফুলের আড়ালে যে স্বার্থপর, নগ্ন, লোভী মন, তাকে শহিদেরা খুব ঘৃণা করে, যেমন ঘৃণা করেছিল তারে, মুখের থেকে মায়ের ভাষা নিতে চায় যে কেড়ে! আমাদের মনগুলো পড়ে ফেলে সকল শহিদ, চরম ঘৃণাভরে ফিরে চলে যায়, আমরা তৃপ্তি নিয়ে ফিরে আসি অরক্ষিত জনপদে, যেখানে মায়ের ভাষা খায়, লোভী বিদেশী ভাষায়!

বর্ণমালা উড়ে যাচ্ছে

ছবি
।। ফরহাদ হাসান চৌধুরী ।। সুতীব্র দেয়াল বেয়ে বর্ণমালা উড়ে যাচ্ছে মেঘের মত- অজস্র ভনিতায় হারিয়ে যাচ্ছে ত্যাগের ফসল কারা যেন লিখতে এসেছিলো নিজ রক্তে শহরের এলোপথে মায়ের নাম সে নাম সে মমতার চাঁদ ভুলে কে বা কারা যেন ডুবে যাচ্ছে বিজাতিয় অন্ধকারে মনালাপে মগ্ন বিহর বলে ভাষার হৃদে হৃদে রক্তের অন্থন লেগে আছে মায়ের কোল থেকে উঠে এসে যে সদ্য লাল রক্তের আলপনা হয়ে গেলো শহরের মোড়ে; সে শহরের পীচ ঢালা রাস্তায় হাঁটে বর্ণ মালার অশ্রুজাত মন মায়ের কোল থেকে যে বোবা হয়ে জন্মেছে তার চোখের অশ্রু আর আত্মজাত বেদনা জানে ভাষার তীব্র মানে । তবুও জানালা খুলা রয়ে যায় একুশ আসে বলে এই চৌহদ্দিতে তোমার আমার হৃদস্পন্দে - আষ্টেপৃষ্ঠে !!!

একুশের কথা

ছবি
।। ফুয়াদ চৌধুরী ।। একুশ আমার অহংকার, একুশ তোমার অহংকার, একুশ আমাদের অহংকার। এ অহংকার নয় কারো শখের নয় কারো বিলাসিতার- এ অহংকার আমাদের গৌরবের, একুশ এলো শান্ত বাংলার দামালের স্পর্শে। ফিরে যাই সেই একুশে যেদিনে ভিনদেশী এনেছিলো হানা বাংলার হৃদে, কেড়ে নিতে চেয়েছিলো মায়ের সেখানো বুলি, গড়ে তুলেছিলো লৌহ কপাট- তবুও বাংলা পিছু মোড়েনি শান্ত বাংলা উদ্বুদ্ধ করেছিলো ঘুমন্ত সত্ত্বাকে। ফিরে দেখো সেই একুশে যেদিন স্থাপিত করতে চেয়েছিলো নতুন কোনো সংস্কৃতি- যেদিন আগামীর তরুণদের গণহত্যা করা হয়েছিলো, তবুও দামাল তরুণ মৃত্যু ঠেলে এগিয়ে এসেছিলো তার মাতৃ বুলির স্লোগান নিয়ে। তারা ভোলেনি মায়ের অস্তিত্ব - ভোলেনি মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য ভোলেনি শহীদ ভাইয়ের ব্যাথা, ভোলেনি প্রতিবাদী ক্ষমতা। দলে দলে বেড়িয়ে পড়ে আন্দোলনে পেশ করে নিজ অধিকার - তারা মানত শ্রদ্ধা তাদের পৌঁছে দিবে আপন গন্তব্যে, অর্জন করে শত প্রাণের বিনিময়ে নিজ মাতৃ ভাষা, শত্রুকে দমিয়ে ইতিহাসে প্রতিষ্ঠা করে নিজ অহংকার। একুশ- এ যে বাংলার এক রেণুমণি।।

একুশের তাৎপর্য

ছবি
।। লায়লা মুন্নী ।। বলতে পারো একুশ কেনো বারে বারে আসে ফাগুনে? তবে কি একুশ থাকে দুপুর রোদের আগুন ঝরা দিনে। বলোতো দেখি একুশে কৃষ্নচূড়া কেনো রক্তলাল হয়? তবে কি একুশ মানে লাল রক্ত তোমার আমার পরিচয়। বলোতো একুশেই তারুণ্য কেনো উত্তাল হয়ে আসে,? তবে কি একুশে বিশ্ব জয়ের স্বপ্নগুলো তরুন চোখভাসে। বলতো এবার একুশ কেনো "মোদের গর্ব মোদেরআশা"? তবে কি একুশ মানে আমার মায়ের মুখের ভাষা। বলো দেখি একুশ কেনো " আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো" অমর সুরের গান? , তবে কি একুশ মানে সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বার আর লাখো শহীদের প্রাণ। বলবে আমায় একুশেই কি স্বাধীনতা আর বিজয়ের গোরাপত্তন? তবে কি একুশ মানে মাতৃভাষা, জন্মভূমি,তোমায় ভালোবাসি মায়ের মতন। বলতে হবে একুশ কেনো আমার এমন সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, ইতিহাস? তবে কি একুশ মানে আমার জন্ম,আমার মৃত্যু আমার শেষ নিঃশ্বাস।

আহাজারী

ছবি
।। তাহমিনা ছাত্তার ।। এ ফাগুন নতুন ফাগুন         ফাগুনে নতুন আগুন কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে          সাজে তাই খুন মাখা তূণ। এ তূণে জ্বালা কত         এতকাল বুঝিনি হায় বরকত-জব্বার তাই আজ        কেবলই কেবল ভাবায়। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছো        এতকাল মাথায় ছিলে কিন্তু সে প্রাণ দেয়ার বেলায়         কত যন্ত্রণায় ছিলে। করিনি পরিমাপ তার       বুঝিনি তীব্রতা তার হৃদয়ের গভীরে আজ        সোহেলের হাড় ভাঙ্গা হার। পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে যায়         ভাঙ্গে ঐ হাতেরই হাড় বা-মাইক্রোর দুর্ঘটনায়         আই সি ইউ র বেডের ওপার। আমার সোহেল জানায় আমায়       রফিক সালামের বেদনারে পলাশ শিমুল জানায় আমায়      কোন রঙে সে রাঙেরে। ছিলো যাঁরা মাথায় আমার        আজ তাঁরা বুকের ভেতর সোহেল আমায় জাগিয়ে দিলো       মন সা...

রক্তাক্ত বাংলা ভাষা

ছবি
।। তানজিলা ইয়াসমিন ।। ফাগুনের আকাশ তীব্র তার রৌদ্র ছটা, বাংলা দামাল ছেলেরা প্রতিবাদের ঘনঘটা। একটি স্লোগান বারবার রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, মায়ের ভাষায় কইবো কথা মানবো না কোন বাধাই। বুকের রক্তে লিখেছো সেদিন বাংলা তোমায় ভালোবাসি, বারবার যেন বাংলার বুকে সালাম রফিক হয়ে ফিরে আসি। শত মায়ের অশ্রু জলে অর্জিত আমাদের রক্তাক্ত বাংলা ভাষা, সালাম লক্ষ কোটি তোমাদের প্রানের বিনিময়ে দিয়েছো মাতৃভাষা !!

দুর্জনের দৌরাত্ম

ছবি
।। ইলিয়াছুর রহমান রুশ্নি ।। রূপালি ইলিশে জোৎস্নার প্রতিফলন, ছড়ায় আভা, শৈল,বোয়াল,পিরানহোর আগ্রাসীপনায় আহত স্বপ্ন। হাঙ্গর,তিমির দৌরাত্মে, নিষ্টুরতা খেলা করে, বিপর্যস্ত জলজ সম্রাজ্য, বসবাসের অনুপযোগী। জঙ্গলে বাঘ, সিংহের আধিপত্যে,দৌড়ের উপর থাকতে হয়, নপুংসক অন্যসব প্রাণীকুল,ব্যাহত অবাধ বিচরণ। ছুটে বেড়ায় জীবন বাঁচাবার প্রত্যয়ে, তবু তারা শিকারীর নির্মম শিকার,জীবনপাত অকাতরে। আকাশে বাজ,শকুন,শঙ্খচিলের অবাধ উড়ে বেড়ানো, সন্ত্রস্ত অন্তরীক্ষ,তবু বেঁচে থাকার তাগিদে পাখা মেলে। কখনো কখনো বিমানও ডানা মেলে ঘাতক হয়ে, নিজেই শিকারে পরিণত, নিয়ে যাত্রী সকল। সমতলে,পাহাড়ে সর্বত্রই শক্তির আধিপত্য, জরাজীর্ণ মানুষ, আহত মানবতা, দু্র্জনের অপঘাতে। সজ্জন বিতাড়িত, মানবতা ভুলুন্ঠিত, হায়েনার কবলে, তবু প্রত্যাশা, দুর্বল, মজদুর পাবে বাঁচার দাপুটে অধিকার।

ফিরে ফিরে দেখা

ছবি
।। অমর বিশ্বাস ।। ফিরে তাকানো ফিরে ফিরে দেখা বার বার শুধু ফিরে দেখা বারে বারে ফিরে দেখা! বারে বারে শিশিরে ভেজা ভোরের শিশিরে বারে বারে শিশিরে--- জ্যোৎস্না শিশিরে ভেজা ফাগুন রাতের আকাশের নীচে! বারে বারে হারিয়ে যাওয়া সেই চেনা বুকে, চেনা সেই ঠোঁটে বারে বারে ফিরে আসে রক্তের চঞ্চলতা জীবনের স্নীগ্ধতা ফিরে ফিরে আসে বার বার কখনও নীরবে কখনও---- ঝোড়ো হাওয়ায় ফাগুন রসে ফিরে ফিরে আসে বার বার!

তুমি রবে নীরবে

ছবি
।। হাফিজ রহমান ।।  যখন কেউ ছিলনা চারপাশে, দুঃখেরা দিনরাত অট্টহাসি হাসে, চারিদিক ছেয়েছিল নিদারুণ কষ্টের রাশি, সেসময় এসেছিলে বন্ধুর দাবী নিয়ে, বলেছিলে, ভালবাসি। আজ দেখ, দুঃখেরা মেনেছে হার, সুখের পাখি ডানা ঝাপটায় চারপাশে আমার, জীবনের কঠিন পথ এসেছি পেরিয়ে, ভুলিনি তোমারে কভূ তবু কেন দূরে হায়- দেখি সংকোচে তুমি দাঁড়িয়ে। তোমাকে ভুলিনি তো কখনও আমি, আমার ভাবনায় তুমি আছো দিবাযামী, আমার সমগ্র অস্তিত্বে বিশ্বাস আর অনুভবে, তুমি আছো, সংকোচ কেন হায়, তুমি ছিলে, রবে নীরবে!

ফাগুন এলো

ছবি
।। শামীমা সুমি ।। ফাগুন নাকি এসেই গেলো প্রহর গুণেগুণে ঝরাপাতায় মর্মর সেই শব্দ শুনেশুনে, কৃষ্ণচূড়ায় ছড়িয়ে দিলো সিঁদুর রাঙা লাল আবির মেখে পলাশ শিমুল হাসলো যে একগাল। ফাগুনটা যে ভীষণ দস্যি মাস সুযোগ পেলেই পোড়ায় শুধু ঘাস, ফাগুন আসে সবুজ শ্যামল গাছে সব পাখিরাই পুচ্ছ নেড়ে নাচে।। ফাগুন এলো হাটে মাঠে মেলায় আবিরখেলা ছড়িয়ে মেঘের ভেলায়, বাসন্তী রঙ অঙ্গে শোভা পায় মৌমাছি সব পিছে পিছে ধায়।। ফাগুন এলেই বুকে আগুন জ্বলে মায়ের চোখে অশ্রু ঝরেই চলে, বোনের মনে রক্তগঙ্গা বয় ফাগুনের সুখ সবার কী আর সয়। পিচঢালা পথ রক্তরাঙা হলো ভাষার জন্য জীবন শত গেলো, শহীদেরা প্রাণ দিলো যে হেসে মায়ের ভাষা অনেক ভালোবেসে।। ফাগুন এলে বসুন্ধরা হাসে পদ্মমন জলের মাঝে ভাসে, আপনমনে নাইতে থাকে হাঁস বসন্ত তুই থাকিস বারো মাস।। আজ ভুলে যাও দাঁড়ি কমা ও হসন্ত এসে গেছে আমার দুয়ারে আজি বসন্ত।

ফেব্রুয়ারির গান

ছবি
।। শ্রাবণ শুভ্র ।।  আয় রে খোকা,আয় রে খুকি গাই ফেব্রুয়ারির গান। মুক্ত কন্ঠে জোড় তুলি শহীদ ছেলের নাম। চলো যাই ? গাই, ফেব্রুয়ারির গান। তোমাদের খুনে পেয়েছি সুনীল স্বাধীনতা । তোমাদের ত্যাগে এসেছে মুক্ত স্বপ্নের মাতৃভাষা । চলো যাই ? গাই, ফেব্রুয়ারির গান। ভুলিনি তোমাদের ভুলবো না কখনও সজীব থাকিবে অন্তঃকরণে । তোমাদের কীর্তিতে সুখের ঘ্রাণ পাই শিশির ভেজানো মুক্ত সমীরে। চলো যাই ? গাই, ফেব্রুয়ারির গান। পাখির কোলাহলে শুনি ফেব্রুয়ারির জয় গান, কি মিষ্টি কুজন; শহীদ ! তোমাদের-ই দান। চলো যাই ? গাই, ফেব্রুয়ারির গান।

একুশের বার্তা

ছবি
।। নাজমা পারুল ।। বার্তা পেলাম লাল খামে একুশ নাকি আসছে ধামে, রক্ত-জোয়ার ঢেউয়ের ভাঁজে নোনা স্বাদের ফেনা তুলে বাংলা ভাষার বিজয় নিয়ে। তাই তো এত আগুন বনে লাল পলাশে ফাগুন সাজে; কৃষ্ণ চূড়ার লাল আভাতে সিঁথির সিঁদুর ঝলকে ওঠে সূর্য হাসে সেই চেতনার রাগে লাল শিমুলের পাপড়ি ছুঁয়ে! ইচ্ছে করে পাখি হয়ে- উড়াল দেই আগুন বনে পলাশ,শিমুল,কৃষ্ণ চূড়ার রক্ত-লালে স্মৃতির খোঁজে! সালাম,রফিক,জব্বার আর বরকত সহ অনেক ভাইয়ের স্মৃতি-চিহ্ন ফাগুন আনে! গাছে গাছে ফুলের মেলা বিষাদ মাখা সুবাস যেন ধূসর-হরিৎ ভুবন মাঝেও বিজয় গাঁথা স্মরণে আসে! লাল সালাম ভাষার দাবী; রক্ত ঝরা একুশে ফেব্রুয়ারী।

অবাক পৃথিবী

ছবি
।। মোঃ আতাউর রহমান ।। আম্র কাননে ছাপ ছাপ রক্ত ঢাকা মেডিকেলের কোল ঘেঁষে একুশে ফেব্রূয়ারীর ঐতিহাসিক দিনে ১৯৫২ সালে পূর্ব বাংলার রাজধানীতে অাজি হতে অর্ধশত বর্ষ আগে ওরা কারা দিয়ে গেল প্রাণ? অবেলায় হেলা ফেলায় সালাম বরকত জব্বার রফিক সফিক হলো তিরোধান ঘাতকের গুলিতে ক্ষণিকের মধ্যে বাংলা ভাষার জন্যে মাতৃভাষার জন্যে। পৃথিবী অবাক! শুধু ভাষার জন্যে দিয়ে গেল প্রাণ এ কোন জাতি? সে এক বীরের জাতি বাঙালি জাতি যারা মায়ের ভাষায় কথা বলে রাখে বাংলা বর্ণমালার মর্যাদা অম্লান রাখে অটুট বাংলা ও বাঙালির মান সম্মান। শুধু বাংলা ও বাঙালিই নয় ছড়িয়ে গেল সারা জগৎময় গর্বিত সারা বিশ্ব ভ্রহ্মান্ড দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাখিতে নিজ ভাষার মান বাংলাদেশের মতো বাঙালি জাতির মতো সকল জাতি হতে চায় মহীয়ান ঘোষিত হলো জাতি সংঘের ফরমান দিয়ে জিন্নার মুখে থু থু, ছাঁই হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সেটা আর কি একুশে ফেব্রূয়ারী।

একুশের ভোরে

ছবি
।। শহীদ আহমেদ ।।  সালাম,বরকত, রফিক,জব্বার, নাম গুলি যেন এক একটি মহাকাব্য। তাঁদের রক্তে ভেজা সেদিনের সেই জামা, তোমাদের পবিত্র বাহান্ন, পবিত্রময় একুশ, পবিত্রতম একাত্তর। ধারাবাহিক পরিক্রমায় অর্জন- ঐ সুবিশাল লাল-সবুজ খচিত পবিত্র পতাকা, এ জন্মভূমি,এ বাংলা। কি অদ্ভূত! আবহমান কালে মানব ইতিহাসে, আর কোন জাতি তার ভাষার সম্মান রক্ষার্থে জীবন দেয়নি- প্রতিবাদী হয়ে, মিছিলে-শ্লোগানে, বুলেটের সামনে। তাইতো- সালাম,বরকত, রফিক, জব্বার নামগুলি- এক একটি মহাকাব্য এই বাংলায়। কি এক অমোঘ টানে প্রতি একুশের ভোরে হাতে ফুল, খালি পা'য় প্রভাত ফেরিতে যাই, হাজারো কন্ঠে শুনি বেদনাতুর চিরচেনা সুর।

মাতৃভাষা

ছবি
।। বিকাশ দাস ।। যে ফেরে এ দুয়ার ও দুয়ার দেখেও আমি ফিরিয়ে নিই মুখ হাত নেড়ে ইশারায় ভিখ মাগে যদি পায় একটু অন্নর সুখ আমি জানি সে ক্ষুধিত ভিখারী । ভোর উঠতেই যে পাখি ভাষার ডানা মেলে উড়ে যায় শূন্য হাওয়ায় মগ্ন চাওয়ায় দুনিয়াদারি ভুলে গান গায় আমি জানি সে হৃদয়খোলা সংসারী । যে পথ খুঁজে পথ হারায় খাম খেয়ালির স্তব্দ হাওয়ায় যে ভাষায় প্রাণখোলা গানের কলি আত্মহারা চাওয়ায় আমি জানি সে আনন্দ পথচারী । দিনান্তে যখন ফিরি ঘরে ক্লান্ত সর্বশ্রান্ত কাঠ শরীরে যে ভাষার দানা ভিজিয়ে জিভ গলার অন্তস্তল ঘিরে এ আমার মাতৃভাষা সুখভাসায় প্রচ্ছন্ন আত্মার নীড়ে আমি জানি সে জীবনযাপনকারী ।

কথোপথন

ছবি
।। হাফিজ রহমান ।। তার সাথে কথা হয়, কিযে বলি, কেন বলি, কিভাবে বলি, কিছুই কি মানে হয়? এই যে যেমন: : তোমার আকাশে চাঁদ আছে? : চাঁদ কোথায়? খটখটে রোদ। একটু মেঘ আছে, হয়ত বৃষ্টি হবে। আষাঢ়ের মেঘতো! : আমার মনেই থাকেনা, আমার এখানে রাত, আরো পরে চাঁদ উঠবে। আমি হয়তো দেখতে পাবোনা, ঘুমিয়ে যাবো! আচ্ছা,  তোমার টবে ফুল ফোটে? :ফোটেতো,  একটা লাল গোলাপ ফুটে আছে, তোমাকে দেবো। :কি করে নেবো? আমি যে দূরে, যোজন যোজন! : মন দিয়ে নাও! : কি যে হয় ছাই, ভালো লাগেনা কোনকিছু! তারপর সুনশান, চারদিক নৈঃশব্দ্য ছেয়ে থাকে, কিযে এক অস্থিরতা ঘিরে রাখে। :আচ্ছা, এটা কি নেশার মত? : কোনটা? : এইযে কথা বলা। কত কিযে বলি, কিছু মানে হয়, কিছু হয় প্রলাপ, কিছু তো  মনেও থাকেনা। :প্রেমে পড়লে এমন হয়। তুমি প্রেমে পড়েছো, হা হা হা............ তারপর যতক্ষণ যায়, তোমার হাসির শব্দ প্রতিধ্বনি হয়, আমার হৃদয় গুহায় বারবার যেন বলে যায় ভাল আমি বেসেছি তোমায়! তবুও সজাগ হই। নিজেকে শাসাই, তোমাকেও বলি, অত প্রশ্রয় দিওনা মেয়ে, নিজের দিকে চেয়ে একটু কঠোর হও! মাঝেমধ্যে ধমক ধামক দাও! তোমার জন্য মরতে ...

বসন্তের ফুলের মালা

ছবি
।। লায়লা মুন্নী ।।  বসন্তের এই মাতাল দিনে, কোথায় আছো তুমি? হারিয়ে গেছো?  কি ভেবেছো?তোমায় পাবোনা আমি?  ফুল বাগানের মালির মতো, ভ্রমরের গান শুনবো যখন,  তোমায় যেনো চুপটি করে খুঁজে নিবো আমি তখন ।  আমার কিন্তু বুদ্ধি এমন, দেখে ভাবো সাদা কালো,  তোমার রঙটি আমি কিন্তু হাজার রঙেও চিনি ভালো। গোলাপ যখন হও তুমি, লাল রঙটি তোমার থাকে,  ভালোবাসাবে বলে তোমার দুচোখ কেবল স্বপ্ন আঁকে।  হও যখন ঝড়া বকুল,বোকা নই আমি খুজবো মুকুল।  ঝড়া ফুলের মধ্যে তোমার শ্বেত শুভ্রে হই যে ব্যাকুল।  কদম যখন হও তুমি,গন্ধে তোমার মাতাল আমি।  বৃষ্টিভেজা কদম থেকে তোমার মধুর পরশ পেতে,  হলদে সাদা রঙটি তোমায় খুজে নেই যে আনন্দতে। অপরাজিতা হবে তুমি?নীল কাব্যে ঘুমপাড়ানি?  তবুও জেনো ঘুমটি তোমার ভাঙিয়ে দেবো আমি তখনি।  আমার মনের বাগান থেকে তোমায় আমার খুজে পেতে।  একটু সময় লাগবে না তো,ফেলে দিলাম ভাবনাতে তো?  থাক ভুলে যাও গোলক ধাঁধা,আমার মনে পড়েছো বাঁধা।  আমার চোখ এড়িয়ে তুমি, থাকো যদি জানবো আমি?  তোমায় আমি...

স্বপ্ন পরীর বেশে

ছবি
।। আদিত্য আরেফিন ।।  কভু ভুলতে পারিনা তোরে সোনা, তোর কচি মায়াবী বদন-খানি।, কি করে ভুলবো তোরে বল দেখি, তুই ছিলি মোর এ রিক্ত বুকে, তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের একনদী পানি । দুঃখ-ব্যথা,জড়া-জীর্ণতা ভুলাতিইস, হয়ে কল্লোলিত আনন্দ-প্রবাহিণী। মাঝ রাতে ঘুমের ঘোরে চমকে উঠি, শোনে তোর কণ্ঠে ধ্বনিত 'মা' ধ্বনি। খিল-খিলিয়ে হাসতি তুই, আমায় দেখে দেখে, তুই-ই ছিলি মোর দুই-নয়নের মণি। বুকে চেপে তোরে করেছি কত মায়া, কত না আদর-যতন। গাল ফুলাইতিস অবুঝ অভিমানে, অশ্রু-জলে ভাসাইতিস দুচোখ, যদি না হতো তোর মনের মতন। অচিন অভিমান বুকে নিয়ে, সব মায়া ভুলে, মাকে ফেলে ভিড়াইলি জীবন তরী, কোন সে নদীর কূলে । চলে গেলি বুকের ধন;কোন অজানায়,  কোন না ফেরার দেশে? আয় ফিরে আয়এ রিক্ত বুকে, কেন খেলিস লুকোচুরি আমাতে,  এভাবে স্বপ্ন পরীর বেশে।

দুচোখের জলকণা

ছবি
।। তানজিলা ইয়াসমিন ।।   দুচোখের জলকণা গোনা যায় না; হয়তো কখনো বুঝবেনা আমার কষ্ট- নিদ্রাহীন এক একটি রাত কতটা দীর্ঘ পৃথিবী ঘুমায় শুধু জেগে থাকি আমি রাতের সাথে দীর্ঘ মিতালী শূন্যতার হেঁটে চলা পায়ের শব্দে ক্লান্ত প্রহর সময়ের স্মৃতি জুড়ে ধুলোপড়া মুখ, ক্ষণিকের অতিথি যখন হৃদয়ের স্পন্দন ফিরে যাওয়ার ক্ষণে গোধূলীর আবরণ! তুমি তুমি যেন সন্ধ্যার ঝাপসা ছবি- ছিঁড়ে গেলো বাঁধনের সবগুলো তার দীর্ঘশ্বাসের ছটফট তুমিহীন বেঁচে থাকা ফিরে আসবে ভেবে বারবার ফিরে দেখা; জানি হবে না কখনো তুমিময় কোনো ভোর হৃদয় চিৎকার করে বলে যায় তুমি স্বার্থপর!!!